নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বজ্রমোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের নানক-শহীদ (বাকসু) পরিষদের সমাজ সেবা সম্পাদক,বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং ১৯৭৫ সালে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ১৫ই আগস্ট শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করতে গিয়ে সামরিক জান্তার হাতে আটক হয়ে দীঘদিন কারাবরনকারী নেতা বর্তমান বিসিসি ২২ নং ওয়ার্ড নির্বাচিত কাউন্সিলর আনিসুর রহমান দুলালকে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক মীর জাফর খন্দকার মোস্তাকের নামের সাথে তুলনা করে সামাজিক যোগাযোগ ফেইজ বুকে ছবি পোষ্ট করে সমাজে মান-সম্মান ক্ষুন্ন ও হেয় প্রতিপূর্ণ করার অভিযোগ এনে নগরীর কড়াপুর পপুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বহিস্কৃত সভপতি আনোয়ার হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে বরিশালের বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বুধবার (১৩ই) সেপ্টেম্বর আনিসুর রহমান দুলাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্ব শরীরে হাজির হয়ে এ্যাড,আজাদ রহমানের মাধ্যমে আনোয়ার হোসেন পলাশকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৩ই আগস্ট আসামী আনোয়ার হোসেন পলাশ নিজের ফেইজ আইডিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং একই ছবির ফ্রেমে থাকা দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক,পার্বত্য শান্তি চুক্তির রুপকার অগ্রনায়ক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ,তার উত্তর সূরি বরিশাল বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক স্থানীয় মন্ত্রী,সচিব সহ বিসিসি নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমি আনিসুর রহমান দুলাল সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। আসামী আনোয়ার হোসেন পলাশ সেই ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় পতিপূর্ণতা করার লক্ষে ঘাতক মোস্তাকের সাথে তুলনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোষ্ট দিয়ে আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেছে।
অভিযোগে আরো জানা গেছে আনোয়ার হোসেন পলাশ একজন সন্ত্রাসী,বেজহানী,দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী ও বিভিন্নভাবে সামাজিক মানুষের মান-সম্মান ক্ষুন্ন এবং মিথ্যা প্রচার চালানোর মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিল করায় তার প্রধান পেশা। অপরদিকে আনিসুর রহমান দুলাল ২০১৮ সালে বিসিসি নির্বাচনের পূর্ব ২০১৭ সাল থেকে বরিশঅল সদর উপজেলা রায়পাশা-কড়াপুরের ঐতিহ্য বাহি কড়াপুর পপুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সুনামের সাথে সভাপতির দায়ীত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া ১৯৮৭ সালে এরশাদের উপজেলা বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে সেই সময়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৫ মাস বরিশাল কারাগারে জীবন-যাপন করতে হয়। উল্লেখ্য, আনোয়ার হোসেন পলাশের বিরুদ্ধ গত ২৯ই আগস্ট এব্যাপারে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করা হয়। সেই লিগ্যাল নোটিসের কোন জবাব না দেওয়ার পরিপেক্ষিতে এবং ফেইজবুকের মাধ্যমে অপ প্রচার করে বন্ধুমহলে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুক্ষিণ হওয়া সহ সামাজিক,আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং রাজনৈতিক সামাজিক মর্যদা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনেই তিনি আইনের মাধ্যমেই এসকল অপরাধিদের বিচারের প্রত্যশা কামনা করেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
Leave a Reply